রেবতি শিকদার(৫০), গ্রাম-ডাকাতিয়া, উপজেলা-পিরোজপুর সদর, জেলা-পিরোজপুর একজন আদর্শ কৃষক। কৃষি বিভাগের পরামর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং পিরোজপুরে মাল্টার বিপ্লবের সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে ২০০৮ সালে মাত্র ১০ শতক জমিতে প্রথম মাল্টা চাষ শুরু করেন। স্থানীয় বাজার থেকে ইন্ডিয়ান জাতের ৪৫ টি চারা সংগ্রহ করেন এবং কৃষি বিভাগের মতামতের ভিত্তিতে চারা রোপন ও পরিচর্যার ফলে তার বাগানে মাত্র ৩ বছরেই আশাতিত মাল্টা ধরতে শুরু করে। রেবতি বাবুর মাল্টা চাষের পিছনে সবথেকে বেশি অবদান তার স্ত্রীর একান্ত ইচ্ছা এবং পরিচর্যা। রেবতি বাবুর মাল্টা বাগানে প্রাথমিক খরচ হয় প্রায় ২৫ হাজার টাকা। মৌসুমভিত্তিক কর্মচারীর খরচসহ বছরে তার খরচ হয় ২০ হাজার টাকা এবং নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে আয় করেন বছরে প্রায় ১ লক্ষ টাকা। বিদেশী মাল্টার চেয়ে তার বাগানের মাল্টা বেশী রসালো ও সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে চাহিদা বেশি এবং প্রতি কেজি মাল্টা খুচরা ১৫০ টাকা এবং পাইকারী ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি করেন।
মাল্টা বাগানের ফলন এবং সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে রেবতি বাবু তার মাল্টা বাগানকে আরো সম্প্রসাণের উদ্যোগ নেন এবং ২০১৬ সালে বাগানে বারি মাল্টা-১ জাতের চারা রোপনের মাধ্যমে আারো সাড়ে তিন একর ৫০ শতক সম্প্রসারিত করেন। রেবতি বাবুর মাল্টা বাগানের সম্প্রসারণে প্রাথমিক খরচ হয় প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। স্থায়ী ২ জন কর্মচারীর খরচসহ বছরে তার খরচ হয় ৩ লক্ষ টাকা। তার বাগানে ১০০০ মাল্টার পাশাপাশি রয়েছে অন্যান্য ফল গাছ। পিরোজপুরে মাল্টার বিপ্লব ঘটায় রেবতি বাবু বাগানের পাশাপাশি মাল্টার নার্সারি গড়ে তুলেছেন। তার মাল্টা বাগানে বছরে প্রায় ১৫০০০ মাল্টা চারা গ্রাফটিং এর মাধ্যমে উৎপাদন করেন এবং চারা বিক্রয় করে আয় করেন বছরে ৬ লক্ষ টাকা। মাল্টা উৎপাদন ও মাল্টা চারা উৎপাদনের পাশাপাশি তিনি বাগানে মাল্টা গাছের মাঝে ১০০ টি পেঁপের চারা ও ৫০০ মাদা কাকরোল রোপন করে ফলের পাশাপাশি সব্জি উৎপাদনের উদ্দ্যেগ গ্রহণ করেছেন। তার মাল্টা বাগানটি যথেষ্ট গোছালো ও পরিপাটি হওয়ায় প্রতিদিন অনেকেই তার বাগান পরিদর্শন করেন। তার চাষাবাদ এবং মিডিয়ার প্রচারনায় অনুপ্রাণিত হয়ে দেশে বিদেশে অনেকেই মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়েছেন। সরকারী বেসরকারী উদ্যোগে বাজারজাতকরণের সুবিধা পেলে তার ইচ্ছা তার বাগানকে আরো সম্প্রসারিত করা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস